, বুধবার, ০১ মে ২০২৪ , ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ইসরায়েলে হামলার জন্য প্রস্তুত ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র

  • আপলোড সময় : ১৩-০৪-২০২৪ ১০:১২:১৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-০৪-২০২৪ ১০:১২:১৯ পূর্বাহ্ন
ইসরায়েলে হামলার জন্য প্রস্তুত ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র
এবার ইসরায়েলের ওপর প্রতিশোধ নিতে শতাধিক ড্রোন এবং কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে ইরান। শনিবার (১৩ এপ্রিল) হতে পারে এ আক্রমণ। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম সিবিএস নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তজেনা বৃদ্ধি এড়াতে ইরান ছোট আকারের হামলাকে বেছে নিতে পারে। অন্যদিকে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে গত ১ এপ্রিলে করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের দুই জেনারেলসহ বেশ কয়েকজন কমান্ডার নিহত হন।

এবার সেই হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরান হামলা চালাবে। যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হতে পারে তেহরানের হামলা। এ বিষয়টির সঙ্গে জানা আছে এমন একজন ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে সংবাদ মাধ্যমটি।

শুক্রবার ফ্রান্সের বার্তা সংস্থা এএফপি হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার ইরানের হুমকি ‘বাস্তব’। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এখনও ইরানের সম্ভাব্য হুমকিকে বাস্তব ও কার্যকর বলে মনে করি। যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের হুমকির আলোকে ওই অঞ্চলে তার নিজস্ব শক্তি পরীক্ষা করে দেখছে এবং পরিস্থিতি খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

এ অবস্থায় ইসরায়েলে কর্মরত নিজ দেশের নাগরিকদের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন দূতাবাসের বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, নিজ কর্মীদের বৃহত্তর জেরুজালেমের বাইরে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে, তেল আবিব ও বির শেভা এলাকা এ সতর্কতার আওতামুক্ত থাকবে।

টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ‘যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি’ সম্পর্কে একটি ‘বিস্তৃত’ মূল্যায়ন করেছে। আইডিএফ যে কোনো হুমকির বিরুদ্ধে আক্রমণ ও প্রতিরক্ষায় ভালোভাবে প্রস্তুত। তারা যুদ্ধে আছি এবং প্রায় ছয় মাস ধরে উচ্চ সতর্কতায় আছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।
সর্বশেষ সংবাদ
৭২ সালের পর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখল দেশবাসী

৭২ সালের পর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখল দেশবাসী